শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভার্ট, সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদকের আড্ডা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: নেই কোন সড়ক, পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে কালভার্ট। আর এ সুযোগে সন্ধ্যা নামলেই ওই পরিত্যক্ত কালভার্টে বসে বখাটেদের আড্ডা। পরিত্যক্ত এই কালভার্টটি ঠাকুরগাঁও এর রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের বাবুরিয়া গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে রাতোর বাজার উঠার ঠিক মাঝে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোপীনাথপুর এলাকার কাঁচা সড়কের নতুন একটি কালভার্টের পার্শ্বে পরিত্যক্ত কালভার্টটি। কালভার্টটির কোন সংযোগ সড়ক নেই। কালভার্টের দুই পাশে আবাদি জমি রয়েছে। তাতে একপাশে রয়েছে মরিচের গাছ অন্য পাশে ধানের চারা। আর কালভার্টটির ঠিক মাঝে দেবে গেছে। কালভার্টের বিভিন্ন অংশের ইট পাথর খোঁয়া গেছে। কালভার্টটি রয়েছে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিত্যক্ত এই কালভার্টটিতে সন্ধ্যা নামলেই বসে বখাটেদের আড্ডা। এ আড্ডা চলে রাতভর। তাছাড়া কালভার্টটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে। এতে কেউ হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাঙ্গা, সইদুল জানান, বর্তমান নতুন কালভার্টটির পুর্বে এ কালভার্টটি ব্যবহার করা হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে হঠাৎ করেই কালভার্টের ঠিক মাঝে দেবে যায়। এতে কৃষি কাজের বিভিন্ন গাড়ীসহ লোকজনের চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালভাটঁটিকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যায়িত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখলে বছর চারেক পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের ২০ গজ সামনে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়। পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের রাস্তাটি নতুন কালভার্টের সাথে যুক্ত করা হয়। সে থেকেই কালভার্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে দাবী করেন তারা। স্থানীয়রা এ প্রতিবেদকের কাছে দাবী রেখে বলেন, আপনারা পেপার পত্রিকায় দেন, এ কালভার্টটি খুব ঝুঁকিতে রয়েছে। যখন তখন ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাছাড়া পরিত্যক্ত কালভাটঁটিতে বখাটেদের প্রচুর আড্ডা। বখাটেরা আড্ডার ছলে কখন কোন ক্রাইম করে বসে ঠিক নাই। তাই এই পরিত্যক্ত কালভার্টটি স্থানান্তরের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তারা।

এদিকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ কালভার্টটি তাদের নির্মাণ করা না। মুলত এ কালভার্টটি কোন দপ্তর নির্মাণ করেছিলেন বা কোন অর্থায়ানে হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন, পরিত্যক্ত কালভার্টটি তার বাবা মরহুম মিজানুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় নির্মাণ করে দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। তবে কোন দপ্তর কালভার্টের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেটি তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নি। কালভার্টটি স্থানীয়দের দাবীর পেক্ষিতে অপসারণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com